প্রকাশিত: Thu, Mar 16, 2023 5:15 PM
আপডেট: Sat, May 10, 2025 3:22 PM

স্বদেশ ফিরতে আগ্রহী ১৫৬ রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলেছে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল

ফরহাদ আমিন: দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তথ্য যাচাই ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় ৬৩  রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই করা হয়েছে। বুধবার একই সম্মেলনকক্ষে মিয়ানমার প্রতিনিধিদলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ২৯ পরিবারের ৯৩ রোহিঙ্গা।

সাক্ষাৎকারের জন্য তালিকাভুক্ত টেকনাফের জাদিমুড়া ও শালবাগান ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের গাড়িতে করে বন্দরে আনা হয়। সেখানে প্যান্ডেলে রোহিঙ্গাদের চেয়ারে বসানো হয়। পরে একজন করে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়। সাক্ষাৎকার শেষে মিয়ানমার প্রতিনিধিদলটি একটি কাগজে টিপসই নিয়ে রাখছে। কিন্তু সেটি কেন জিজ্ঞাসা করেও জবাব পাচ্ছেন না রোহিঙ্গারা।

মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মংডুর আঞ্চলিক পরিচালক অং মাইউ। আরআরআরসি কার্যালয়ের তথ্যমতে,চীনের মধ্যস্থতায় ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। তখন প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ থেকে যে আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারে পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে থেকে প্রথম ধাপে ১ হাজার ১৪০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৭১১ জন রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সম্মতি পাওয়া গিয়েছিল। অবশিষ্ট ৪২৯ রোহিঙ্গার বিষয়ে মিয়ানমারের আপত্তি ছিল।বাংলাদেশ সরকারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলটি ৪২৯ রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার এবং তথ্য যাচাইয়ে টেকনাফে আসে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, পাঁচ-ছয় দিন সময় লেগে যেতে পারে।আমরা তাদের সহযোগিতা দিচ্ছি।

মিয়ানমারে মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্সে অং মাইউ’র নেতৃত্বে ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল বুধবার টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশে আসেন। প্রাথমিক আলোচনা শেষে প্রতিনিধি দলের ৫সদস্য মিয়ানমার ফেরত গেলেও কক্সবাজারে অবস্থান করছেন ১৭ সদস্য। 

উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্প নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২লাখ।এর মধ্যে আট লাখ দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়ে২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর এসেছেন। সাড়ে পাঁচ বছরেও একজন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ফেরত নেয়নি। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান